অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের জন্য রাজ্যের স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে সকালে স্কুল চালাতে পারে, এরকম নির্দেশিকা কিছুদিন আগেই জারি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০% স্কুল কর্তৃপক্ষ গরমের জন্য সকাল বেলা স্কুল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। এই জুন মাসটা সকাল ৭ টা বা ৭.৩০ টা থেকে স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার স্কুল কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে যে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষই গত তিনদিনে সকালে স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। তবে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের স্কুলে স্কুলে গিয়ে পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এটি দেখার জন্য যে সময়সীমা বদলে সকালে স্কুল করলেও স্কুলগুলি কোনোরকম ভাবে ফাঁকি দিচ্ছে কিনা?
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্যে ৬৪ হাজার স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার হল প্রাথমিক স্কুল এবং ১৪ হাজার স্কুল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দ্বারা অনুমোদিত।
অতিরিক্ত গরমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ২২ শে এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়েছিল। প্রায় দেড় মাস গরমের ছুটির পর সোমবার থেকে স্কুলগুলি খুলেছিল। তবে উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার কোনও নামই নেই। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে একফোঁটাও গরম কমেনি। তীব্র তাপপ্রবাহ চারিদিকে। এই কারণে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে, স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে স্কুলের সময় বদলে সকালে স্কুল চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে অতিরিক্ত গরম পড়ার জন্যই এই রূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুন মাসের পুরোটাই স্কুলের সময় পরিবর্তন করে সকালে স্কুল পরিচালনা করা যাবে। প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া কেমন রয়েছে সেটি বুঝেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুলের সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, স্কুলের সময় বদলের জন্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনাতে যেন কোনো ভাবেই অসুবিধা না হয় এবং সিলেবাসও যেন যথা সময় শেষ হয় সেদিকে যেন ঠিকমতো লক্ষ্য রাখা হয়।