Money Making Tips: চারিদিকে বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একটা চাকরির জন্য হাহাকার করছে শিক্ষিত মানুষজন। অপরদিকে, কৃষকরা চাষ করে ক্রমশই ধনী হয়ে যাচ্ছেন। কৃষি বিজ্ঞানের নতুন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা।
সেরকমই একজন হলেন গোড্ডার পাথরগামার বাসিন্দা রঞ্জিত। তিনি ভারা পদ্ধতিতে তার এক বিঘা জমিতে কুমড়ো চাষ করেন। যা থেকে তিনি এখনও পর্যন্ত লাখ টাকারও বেশি আয় করেছেন।
তবে তিনি মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই চাষের কাজ শুরু করেছিলেন। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তিনি ফসলের দেখভাল করে গেছেন। আর ফলনও তেমন দুর্দান্ত হয়েছে। যার জন্য মোটা টাকা আয় করছেন তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে রঞ্জিত জানান, তিনি মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই কুমড়ো চাষ শুরু করেছিলেন। প্রথমে তিনি ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ট্রাক্টর কিনে পুরো ক্ষেত চাষ করেছিলেন। এরপর পুরো জমিতে ৫ হাজার টাকার সার ব্যবহার করেন মাটির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য। এরপর তিনি ১ হাজার টাকা দিয়ে বীজ কিনে নিজের ওই এক বিঘা জমিতে রোপন করেন।
কিন্তু ভারা তৈরিতে তার সবথেকে বেশি খরচ হয়েছে। বাঁশ আর দড়ি দিয়ে পুরো ক্ষেতে তিনি ভারা তৈরি করেছিলেন। ভারা তৈরি করার জন্য ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার।
রঞ্জিত আরও জানান, আগে যখন তিনি জমিতে ফসল ফলাতেন সেই সময় তিনি দিনে ৩০ থেকে ৪০ টি কুমড়ো তুলতে পারতেন। তবে বিগত ২ বছর ধরে ভারা পদ্ধতিতে কুমড়ো চাষ করছেন তিনি। এই ভারা পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে ফলনও দুর্দান্ত হচ্ছে। দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ টি কুমড়ো তুলতে পারছেন তিনি। আগের থেকে উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রঞ্জিত এপ্রিল মাস থেকে এই ভারা পদ্ধতিতে কুমড়ো চাষ শুরু করেন। গাছে ফল ধরতে শুরু করে জুন মাস থেকেই। জুলাই মাসের পুরোটা জুড়েই কুমড়োর ফলন হয়। তারপর তিনি সেই ফসল তুলে বাজারে বিক্রি করেন। আগের বছরের ন্যায় এইবছরও মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই লক্ষাধিক টাকা আয়ের আশা রাখছেন রঞ্জিত।