টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Champions) হল ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যখন ভারতীয় দলের একটার পর একটা উইকেট পড়ছিল ঠিক সেই সময়তেই পুরো টুর্নামেন্টে রান না পাওয়ার জন্য সমালোচিত হওয়া বিরাট কিং কোহলি (Virat ‘King’ Kohli) দেখিয়ে দিলেন তিনি আসলেই কিং।
রোহিত শর্মা, রিসভ পন্থ, সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারিয়ে একটা সময় ধুঁকছিল ভারতীয় দল। ঠিক সেই সময়তেই পুরো দলকে একা হাতে টানলেন তিনি। ৫৯ বলে ৭৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন। আসলে দলের বিপদের সময় বরাবরই তিনি ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কারটি পান বিরাট কোহলি। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের (Man of the Match) পুরস্কারটি হাতে নিয়েই তিনি অবসর ঘোষণা করেন (Virat Kohli Retirement)। তিনি জানান, টি-টোয়েন্টিতে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এটাই ছিল আমার শেষ ম্যাচ। এখন পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নেওয়ার সময়।
তিনি আরও জানান, আমরা এই বিশ্বকাপটি অর্জন করতে চেয়েছিলাম। এক এক দিন এমন মনে হয় যে আমি এক রানও পাবোনা। কিন্তু তারপরই এরকম হয়। ঈশ্বর আসলেই মহান। এরকম মরণ-বাঁচন পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা দিতে পেরেছি সেটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে ভারতীয় দলের জার্সিতে হয়তো এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।আমরা এই টি-টোয়েন্টি ট্রফিটা জিততে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচটি হেরে গেলে অবসরের ঘোষণা নিতাম না এমনটি নয়। তবে এখন পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নেওয়ার সময়। এই ট্রফিটার জন্য আমাদের দীর্ঘ অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার এটি ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এবং রোহিতের এটি নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। রোহিত এই ট্রফিটা জেতার যোগ্যই ছিল।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফরম্যাটে হারারে-তে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির। তারপরের বাকিটা ইতিহাস। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মোট ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই ১২৫টি ম্যাচে ৪৮.৬৯ গড়ে মোট ৪,১৮৮ রান করেছেন তিনি। এরই মধ্যে গত বছরের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ৩৮টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।